বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে জন্ম নেয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পতনের পর পাকিস্তান পর্বে বাঙালির রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম থেকেই এই দলের উত্থান। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক সংগঠন ছিল না, এটি হয়ে ওঠে বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের প্রতীক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা দাবি এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ—প্রতিটি ধাপেই আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল নেতৃত্বের। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় এই দলই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সর্বাধিক অবদান রাখে।

স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেয়। নানা উত্থান-পতনের মধ্যেও দলটি গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের আদর্শে অটল থেকেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ সময় সামরিক শাসনের অন্ধকারে থেকেও আওয়ামী লীগ গণমানুষের বিশ্বাস হারায়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটি আবারও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পথে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের ইতিহাস তাই কেবল একটি দলের ইতিহাস নয়, এটি বাঙালির আত্মত্যাগ, স্বাধীনতা ও অগ্রগতির ইতিহাস।


কবিতা: আওয়ামী লীগ – আলোর পথযাত্রী

রোজ গার্ডেনের মাটিতে উঠেছিল যে কণ্ঠ,
বাঙালির হৃদয়ে বাজে আজও সেই সুর অমলিন।
ছয় দফার পতাকা হাতে মুজিবের আহ্বান,
জাগ্রত করেছিল স্বপ্ন—স্বাধীনতার গান।

রক্তে রাঙানো মার্চ, ডিসেম্বরের জয়,
বাংলার আকাশে উঠেছিল লাল সবুজময়।
অন্ধকার পেরিয়ে আলোয় ফিরে এসেছে দেশ,
আওয়ামী লীগ মানে আশা, অগ্রগতির শেষ।

স্বাধীনতার শপথ বুকে, উন্নয়নের পথচলা,
গণমানুষের দল এ, মাটির গন্ধে গড়া।
যতদিন বাংলা আছে, যতদিন এই প্রাণ,
আওয়ামী লীগের ইতিহাস ততদিন অম্লান।

Posted in

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান