• ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের সবচেয়ে গৌরবময় দিন।১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ পাকিস্তানের শাসন থেকে মুক্ত হয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পায়।

    কেন যুদ্ধ শুরু হয়:…..::

    ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়।পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ছিল সংখ্যায় বেশি,কিন্তু তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ভাষাগতভাবে বঞ্চিত ছিল।১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও পাকিস্তানি সরকার ক্ষমতা দেয়নি।

    ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নৃশংস হামলা চালায় (অপারেশন সার্চলাইট)। এর পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।নয় মাসের যুদ্ধ,এই হত্যাযজ্ঞের পর বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেন।নারী, শিশু, সাধারণ মানুষ—সবাই এই যুদ্ধে ত্যাগ স্বীকার করেন।নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়।

    এই দিন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—স্বাধীনতা সহজে আসেনি ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলেই বিজয় এসেছে দেশপ্রেম ও ঐক্যের শক্তি অপরিসীম.l

    সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।তাঁদের আত্মত্যাগেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও লাল-সবুজের পতাকা।চিরস্মরণীয় আপনারা।জয় বাংলা! 🇧🇩.,জয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান•’????


  • সামাজিক কুসংস্কার ও শিক্ষা ঘাটতি

    বাংলাদেশ একটি বহুসাংস্কৃতিক, বহু ধর্মাবলম্বীর দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে সংখ্যালঘুরা—বিশেষ করে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো—বিভিন্ন সময়ে ভৌমিক হামলা, জমি দখল, রাজনৈতিক প্রতিশোধ এবং ধর্মীয় উগ্রতার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে।

    সংখ্যালঘু নির্যাতন সাধারণত নিম্নোক্ত রূপে দেখা যায়—

    জমি দখল ও সম্পত্তি দখল ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা (মন্দির, গির্জা, বৌদ্ধ বিহার) হত্যা, মারধর ও ভীতি প্রদর্শন নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক হামলা সামাজিক বৈষম্য ও বঞ্চনা

    সংখ্যালঘু নির্যাতনের পেছনে কয়েকটি বড় কারণ রয়েছে—

    রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দুর্বল আইন প্রয়োগ ধর্মীয় উগ্রপন্থা সামাজিক কুসংস্কার ও শিক্ষা ঘাটতি অর্থনৈতিক স্বার্থ (সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্য)রাষ্ট্র সংখ্যালঘু সুরক্ষায় আইনগত পদক্ষেপ নিলেও প্রয়োগের ঘাটতি প্রায়ই দেখা যায়। নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংগঠন এবং গণমাধ্যম এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

    আইনের কঠোর প্রয়োগ

    হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে কঠোর শাস্তি।

    শিক্ষা ও সচেতনতা

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বহুত্ববাদের শিক্ষা জোরদার করা।

    রাজনৈতিক সদিচ্ছা

    সকল দলের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষায় দৃঢ় অবস্থান।

    জরুরি সহায়তা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা

    হামলার পর পুনর্গঠন, নিরাপত্তা ও মানসিক সেবা নিশ্চিত করা।

    সম্প্রতি (২০২৪-২০২৫) সময়ে — অর্থাৎ গত কিছু মাসে — বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (বিশেষ করে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রভৃতি) বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া কিছু বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরছি। এগুলো এই ইস্যুটির মাত্রা, প্রকৃতি এবং সাম্প্রতিকতা নির্দেশ করে — যাতে আপনি “নির্যাতনের কথা শুধু পুরনো” বললে এ ধরনের ফ্যাক্ট দেখিয়ে বোঝা যায় এই সমস্যা এখনও আছে।

    Bangladesh Hindu Buddhist Christian Unity Council (BHBCUC)-র রিপোর্ট (২০২৪-২০২৫) ওই কাউন্সিলের তথ্যমতে, ৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় ৪৩২টি ভৌত (violence) ঘটনা minority-দের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকছে — মন্দির বা পুজাস্থানে হামলা, বাড়ি/দোকান দখল/লুটপাট, ধর্মীয় ও সাংগঠনিক ভাবে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হয়রানি।  

    ২০২৫ সালের জুলাইয়ে — 2025 Gangachara Hindu neighbourhood attack রংপুর জেলার গঙ্গাচড়ায় (Gangachara Upazila, Aldadpur Balapara গ্রাম) ২৬–২৭ জুলাই ২০২৫: একটি হিন্দু পরিবারের উপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় ১৫–২০টি হিন্দু বাড়ি আক্রান্ত হয়, এবং অনেক পরিবার নিরাপত্তার কারণে এলাকাগুলো ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।  — এই ঘটনায় অভিযোগ করা হয় ধর্মীয় ভ্যুইষম্যের নামে আচরণ করা হয়েছে।  

    ২০২৪ সালের অগাস্ট–ডিসেম্বরে এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকে গণহিংসা-উদ্যোগ ও ভৌত হামলা BHBCUC-এর তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ২,৪৪২টি ধর্মীয় সংঘর্ষ / communal violence-র ঘটনা রিপোর্ট করা হয়।  — রিপোর্টী ঘটনার মধ্যে ছিল — “হত্যা, যৌন হয়রানি, মন্দিরে হামলা, বাড়ি ও ব্যবসা দখল, ধর্মীয় বাক স্বাধীনতার নামে হয়রানি” — এবং আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ, মহিলা, কিশোর-কিশোরী, সবই ছিল।  নির্বিচারে বিচার ও প্রতিকার পাচ্ছে না, বিচারহীনতার অভিযোগ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১,৪১৫টি রিপোর্ট করা ঘটনার মধ্যে ১,২৫৪টি “ভাইরিফায়েড (verified)” হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এর প্রায় ৯৮% (১,২৩৪টি) ছিল “রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে” এবং মাত্র ২০টি ছিল প্রকৃত “সাম্প্রদায়িক (communal)” ঘটনা — যা সংখ্যালঘু কল্যাণ ও অধিকার সংগঠনগুলো ভিন্নমত পোষণ করে।  — সহজ কথায়: সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বা হামলা হলেও, অনেক সময় “রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট” বা “অভিযোগ” বলা হচ্ছে, যা অনেক পরিবারকে न्याय থেকে বঞ্চিত করছে।  

    স্থান-ভৌগোলিক বিস্তার ও বৃহৎ মাপকাঠি BHBCUC এবং অন্যান্য রিপোর্ট অনুসারে, এই হামলা/নির্যাতন শুধু একটি জেলা বা কয়েকটি জায়গায় সীমাবদ্ধ নয় — প্রায় সারাদেশে, অনেক বিভাগ ও জেলার (যেমন : চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, যশোর, নড়াইল প্রভৃতি) একাধিক ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় betroffen হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলে কখনোই দেশের অবস্থা এমন ছিল না”—

    ২০০৯–২০২৩ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় জুড়ে মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, গির্জা ও সংখ্যালঘু বাড়িতে বড় আকারের সহিংসতা খুব বেশি দেখা যেত না। স্থানীয় পর্যায়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও রাষ্ট্রীয় দমন, পুলিশি নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক অবস্থান ছিল তুলনামূলকভাবে শক্ত।আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ২০১0 দশক জুড়ে অপরাধ, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমন স্থিতিশীল ছিল। বড় ধরনের দাঙ্গা বা সারাদেশে বিস্তৃত সাম্প্রদায়িক টেনশন খুব কমই দেখা গেছে।অনেক সংখ্যালঘু সংগঠন নিজেরাই বলেছে—

    উৎসব-পার্বণ পালনে বেশি স্বাধীনতা ছিল। পূজা, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমা ইত্যাদিতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা মিলত। হামলা হলে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতো।আওয়ামী লীগ সরকার ঐতিহাসিকভাবে—ধর্মনিরপেক্ষতা’, ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান’, এবং ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’এই নীতিগুলোতে জোর দিয়েছে, যা সাম্প্রদায়িক শান্তি বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে।

    সাম্প্রতিক সময়ের—সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, জমি দখল, রাজনৈতিক প্রতিশোধ, আইনশৃঙ্খলার পত—এসব দেখা যায়, তখন সহজেই বলা যায়: “আগের মতো নয় — এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন, অনেকটাই অস্থির”

    আমরা চাই আওয়ামী লীগ আবার দেশ শাসন করুক।

    গত কয়েক দশকে তারা দেশের স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন, শিক্ষা, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

    রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞতা, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আমরা মনে করি—

    বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রয়োজন রয়েছে।

    দেশের অর্থনীতি, কূটনীতি, সামাজিক সম্প্রীতি এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যায়—

    সেজন্যই আমরা চাই আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে দেশকে নেতৃত্ব দিক।

  • ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে ঢাকার পিলখানা বিডিআর সদর দপ্তরে হঠাৎ কিছু বিডিআর সদস্য বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তারা উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়, Headquarters অবরুদ্ধ করে ফেলে এবং সারাদেশে বিডিআর ব্যারাকগুলোতে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

    কর্মকর্তাদের সাথে বিডিআর সদস্যদের অসাম্য ও বৈষম্য খাদ্য ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সেনা কর্মকর্তা নেতৃত্ব–এর প্রতি অসন্তোষ তবে পরে অনেক পর্যবেক্ষক ও তদন্তে এই বিদ্রোহের পিছনে সম্ভাব্য নাশকতা ও ষড়যন্ত্র থাকার কথাও উঠে আসে।

    এই বিদ্রোহে নিহত হন—

    ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, যারা বিডিআরে ডেপুটেশন ছিলেন মোট নিহত ৭৪ জন (সেনা সদস্যসহ বেসামরিক লোক)

    এটি বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যার একটি।

    বিদ্রোহ ২৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে।

    সরকার শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং পরে বিডিআর ঘেরাও করে টানা তদন্ত ও অভিযান চালানো হয়।

    তদন্ত ও বিচার

    তদন্ত ব্যাটালিয়ন:

    ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (CID) রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিটি সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্ত

    বিচার:

    বহু মামলা হয়—

    হত্যা মামলা বিদ্রোহ মামলা

    ২০১৩ সালে ঢাকার আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে:

    ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড ১৬১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শতাধিকের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা বহুজন আপিল করেন; পরবর্তীতে উচ্চ আদালত কিছু শাস্তি বহাল রাখে, কিছু কমায়, কিছু বাতিল করে।

    ঘটনার পর ২০১০ সালে বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) রাখা হয় এবং নতুন আইন ও কাঠামো করা হয়।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এত বড় সংখ্যক কর্মকর্তার একসাথে মৃত্যু ইতিহাসে নজিরবিহীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী পুনর্গঠনের পথ তৈরি হয় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, ষড়যন্ত্র, বাহিনী পরিচালনা ইত্যাদি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেl

  • “কি হচ্ছে চারদিকে?”

    মানুষের চোখে চোখে শুধু প্রশ্ন,

    আর উত্তরের নাম নেই।

    ভাতের থালা আজ ছোট হয়ে গেছে,

    কিন্তু দুঃখের পাহাড় বেড়েছে বহুগুণ।

    হাসি হারিয়ে গেছে বাজারের ভিড় থেকে—

    অতীতের মতো আর কেউ বলে না,

    “ভাল আছি ভাই, তুমি কেমন?”

    এখন সবাই শুধু ভাবে—

    কাল যদি আরও খারাপ হয়?

    দেশটা যেন দূষণের ধোঁয়া আর হতাশার জ্বালায়

    জড়িয়ে থাকা এক বিশাল অস্থির হৃদয়,

    যেখানে মানুষ লড়ে বেঁচে থাকার লড়াই,

    কিন্তু শুনতে পায় না কারো আশার ডাক।

    চাকরি নেই কারো হাতে,

    চিন্তা আছে সবার ঘরে।

    পেটে ক্ষুধা, মনে আগুন—

    কিন্তু সমস্যার তালিকা শেষ হয় না।

    রাতগুলো দীর্ঘ, দিনের আলো ম্লান,

    মনে হয় যেন দেশের আকাশও ক্লান্ত,

    মেঘের ভেতর কাঁদে নীরব বৃষ্টি—

    এই মাটির দুঃখে ভিজে যায় চারপাশ।

    তবুও মানুষের বুকের ভেতর

    একটা অদম্য বিশ্বাস বেঁচে থাকে—

    যে দেশটা শুধু অস্থিরতার গল্প নয়,

    একদিন আবার উঠবে জেগে,

    যেমন ভোরের সূর্য অন্ধকার ঠেলে

    আলোর পথ তৈরি করে।

    আমরা যে এই মাটির মানুষ,

    আমাদের রক্তে লুকোকে জেদ, ভালোবাসা,

    আর সেই ভালোবাসার জোরেই

    দেশ একদিন ফিরবে আশা,

    ফিরবে শান্তি, ফিরবে হাসি—

    কারণ অন্ধকার যত ঘন হোক,

    আলো আসবেই…

    আসতেই হবে।

  • জনতার রায়, জনতার গান —
    এই দেশ চলে জনগণের প্রাণ।
    যে থামাতে চায় সত্যের ভাষা,
    তারই সামনে দাঁড়ায় ইতিহাস রাশা।

    রক্তে লেখা এই পতাকা,
    বুকে তার লাল সবুজ আঁকা।
    এ মাটি বলে, “আমি নির্ভীক”,
    অন্যায়ের কাছে নই আমি নত শির!

    গণতন্ত্র মানে কণ্ঠের স্বাধীনতা,
    ন্যায়ের পথে লড়াই, এটাই চিরগাথা।
    যে করে অন্যায়, ভয় পায় আলোয়,
    জনতার চোখে সে ধরা পড়ে কালোয়।

    জেগে ওঠো, তরুণ, কৃষক, শ্রমিক —
    তোমার শক্তিই এই প্রজাতন্ত্রের দিক।
    একতার বাঁশি বাজাও,
    ন্যায়ের গান গাও,
    বাংলা জাগে আজ — নতুন আলোয় ভাসাও!

  • আজকের এই ফাঁসির রায় আমাকে শুধু হতবাক করেনি—রে‌ষায়িত করেছে।

    এটা কি ন্যায়বিচার, নাকি ক্ষমতার সামনে সত্যকে চাপা দেওয়ার আরেকটা নির্মম উদাহরণ?

    যে দেশে বিচার হওয়ার কথা নিরপেক্ষভাবে, সেখানে রায়ের আগেই যদি মানুষ বুঝে ফেলে সিদ্ধান্ত কোন দিকে যাবে—তাহলে সেটা বিচার নয়, সেটা প্রহসন।

    আর এই প্রহসন যতবার ঘটে, ততবার মানুষ বিশ্বাস হারায়… রাষ্ট্রের ওপর, বিচারব্যবস্থার ওপর, নেতাদের ওপর।

    মৃত্যুদণ্ড কোনও ভুলের সুযোগ রাখে না।

    কিন্তু যখন বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তখন এমন রায় মানুষের হৃদয়ে ক্ষত তৈরি করে। মনে হয়—সত্য, ন্যায়, মানবিকতা সবকিছু যেন এক অদৃশ্য শক্তির কাছে বন্দি হয়ে গেছে।

    হ্যাঁ, আমি কঠোরভাবে বলছি:

    ন্যায়বিচার যদি স্বচ্ছ না হয়, তাহলে তা ন্যায়বিচার নয়—এটা শুধু ক্ষমতার প্রদর্শন।

    দেশটা কার? জনগণের।

    বিচার কার জন্য? জনগণের।

    তাহলে জনগণই যখন রায়ের ওপর আস্থা হারায়, তখন সেটা কি জাতির জন্য লজ্জার নয়?

    এই সরকারের সাম্প্রতিক ফাঁসির রায় দেখে স্পষ্ট একটা কথা বলা ছাড়া উপায় নেই—

    যেখানে বিচারব্যবস্থা ক্ষমতার ছায়ায় ঢেকে যায়, সেখানে ন্যায়বিচারের কথা বলা একটা নিষ্ঠুর ব্যঙ্গ ছাড়া আর কিছু নয়।

    আজ যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে, তা মানুষের চোখে বিচার নয়—এটা সরকারের নিজের অবস্থান রক্ষা করার নাটক। সত্যি কথা বলতে কী, দেশে কি সত্যিই ন্যায়বিচার বেঁচে আছে? নাকি ক্ষমতার দরবারে তা গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে?

    একটি সরকারের সবচেয়ে বড় শক্তি হওয়া উচিত জনগণের আস্থা।

    কিন্তু যখন জনগণই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অংশ মনে করে—তখন সেই সরকার যতই ক্ষমতা দেখাক, তার ভিত ভিতর থেকে ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।

    মৃত্যুদণ্ড এমন একটা রায়, যেখানে সামান্যতম সন্দেহও অগ্রহণযোগ্য।

    কিন্তু এই সরকারের অধীনে অনেক রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত এবং স্বচ্ছতার ঘাটতিতে ভরা।

    মানুষ প্রশ্ন করছে, প্রতিবাদ করছে, আস্থা হারাচ্ছে—আর সরকার শুধু রায় চাপিয়ে দিয়ে ভাবছে সত্যকে চুপ করানো গেছে।

    না, সত্য কখনো চুপ থাকে না।

    জনগণও না।

    আমি স্পষ্টভাবে বলছি—

    একটা সরকার তখনই দুর্বল হয়, যখন ন্যায়বিচারের বদলে নিয়ন্ত্রণকে বেছে নেয়।

    আর আজকের রায় সেই দুর্বলতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

    দেশটা ব্যক্তিগত মালিকানায় নয়—

    এটা জনগণের। আর জনগণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত দাঁড়ায়—ইতিহাস সে কথাই বলে।

  • বাংলা এগোবে স্বাধীন আশায়।

    রক্তে লেখা এক ইতিহাস,
    জ্বলছে আজও দীপ্ত আকাশ।
    যে হাতে উঠেছিল পতাকা একদিন,
    বাংলা পেল আলো, পেল স্বাধীন।

    আওয়ামী লীগের সেই অঙ্গীকার,
    ছিল জনগণের বিশ্বাসের ধার।
    বাঙালির কণ্ঠে উচ্চারিত নাম —
    “স্বাধীনতা”, “স্বদেশ”, “অভিযান”!

    যুদ্ধের মাটিতে, আগুনের ভেতর,
    জন্ম নেয়েছিল মুক্তির প্রহর।
    সেই চেতনা আজও জাগে,
    বাংলার বুকে দীপ্তি লাগে।

    আমরা যারা এই মাটির সন্তান,
    রেখে যাবো সেই কীর্তির গান।
    ন্যায়ের পথে, মানুষের পাশে,
    বাংলা এগোবে স্বাধীন আশায়।

  • মাটির গন্ধে, রক্তে লেখা ইতিহাসের গান,

    বাংলা দাঁড়ায়, মাথা উঁচু, গর্বে মহান।

    যত বাধা, যত ঝড়, যত রাতের অন্ধকার,

    আওয়ামী লীগ থামে না — এদেশের অঙ্গিকার।

    তেরো তারিখ আসুক নতুন আলোর ভোর,

    আমরা লড়বো সাহসে, হবে না মন ভোর।

    জনতার শক্তি, একতার জয়ধ্বনি,

    বাংলার হৃদয় বলে — ফিরে আসুক তিনি।

    বুকে রাখি স্বপ্ন, হাতে ন্যায়ের পতাকা,

    দেশ মা আমাদের, তার টানে থাকি একা না।

    শান্তি, উন্নয়ন, ভালোবাসার শপথে,

    বাংলা জাগে আজ — অদম্য প্রতিজ্ঞাতে।

    জেগে ওঠো, বাংলাদেশ! সময় এখন দাঁড়াবার,

    অন্যায়ের বাঁধন ছিঁড়ে, গড়ো ন্যায়ের দ্বার।

    এই মাটির মানুষ মাথা নত করে না,

    আমরা লড়ি ভালোবাসায়, সাহসে ভরা চেতনা।

    বাংলা মানে সংগ্রাম, বাংলা মানে জয়,

    এই পতাকা রক্তে লেখা — নয় কোনো ভয়।

    যে নেত্রী দিয়েছেন আলো, উন্নয়নের পথ,

    তাঁর হাতেই আমরা দেখি ভবিষ্যতের রথ।

    তেরো তারিখ আসুক, জনতার স্রোত বয়ে,

    ঐক্যের মিছিল গর্জে উঠুক হৃদয়ে।

    বাংলার সন্তান বলুক একবাক্যে আজ —

    গণতন্ত্র জিতুক, মুক্ত থাকুক সমাজ।

    আওয়াজ তোলো সবাই, সত্যের পথে চলো,

    বাংলা মায়ের ডাকে এবার একসাথে বলো —

    আমরা ভয় পাই না, আমরা থামি না আর,

    বাংলা এগিয়ে যাবে — অদম্য অহংকার!

    Emam Hossain

  • ১০ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা শহীদ নূর হোসেন দিবস হিসেবে পালিত হয়।

    ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর, স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে ঢাকা শহরে বিরোধীদলীয় জোটের ডাকা গণ-অভ্যুত্থানের মিছিলে অংশ নেন তরুণ নূর হোসেন।

    তিনি বুকে লিখেছিলেন —

    “স্বৈরাচার নিপাত যাক”

    আর পিঠে লিখেছিলেন —

    গণতন্ত্র মুক্তি পাক”

    সেদিন পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন শহীদ হন। তাঁর আত্মত্যাগ তখনকার গণ-আন্দোলনে নতুন গতি আনে এবং পরবর্তীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে, যার ফলস্বরূপ ১৯৯০ সালে এরশাদের পতন ঘটে।

    দিবসটির তাৎপর্য:

    এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের প্রতীক। তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও সাহসিকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। প্রতি বছর ১০ নভেম্বর সারা দেশে নূর হোসেন স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি, আলোচনাসভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

    আমি আওয়ামীলীগ এর একজন কর্মী হিসেবে শহীদ নূর হোসেনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করছি ।

    শহীদ নূর হোসেন এর স্মরণে কালে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর নাম অ কারনেই চলে আসে…

    হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (১৯৩০–২০১৯)

    প্রারম্ভিক জীবন:

    জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০, কুড়িগ্রাম জেলায়। পেশাগত জীবন শুরু করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    ক্ষমতায় আগমন:

    ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এরশাদ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। এরপর তিনি মার্শাল ল’ জারি করেন এবং নিজেকে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৮৬ সালের তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

    স্বৈরাচারী শাসন:

    তাঁর শাসনামলে বিরোধীদলীয় রাজনীতি দমন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করা এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণ তাঁর শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে।

    পতন:

    ১৯৮৭ সাল থেকে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় জোটের গণআন্দোলন শুরু হয়। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেনের আত্মত্যাগ এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করে। অবশেষে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, প্রবল গণআন্দোলনের মুখে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

    পরবর্তী জীবন:

    পরবর্তীতে তিনি আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুবরণ করেন ১৪ জুলাই ২০১৯ সালে।

    আমরা বাংলাদেশী নাগরিক আর চাইনা স্বৈরশাসক ,বাংলাদেশ এগিয়ে যাক 🇧🇩 😍😍😍😍

  • দুর্নীতি শুধু অপকর্মের বিষয় নয় — অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সেবা-প্রদান, প্রশাসনিক সেক্টর ও প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে প্রচলিত সমস্যা হয়ে গেছে। ঘুষ-প্রথা সাধারণত “সেবা না পেলে চলবে না” এই ধারণার উপর ভিত্তি করে কাজ করছে — যেমন “সেবা গ্রহণের জন্য ঘুষ দিতে হয়”-র মত অনুভূতি।  দুর্নীতির কারণে শুধু সামাজিক অবিচার নয়, অর্থনৈতিক খাতেও বড় ক্ষতি হচ্ছে — যেমন প্রকল্প বাস্তবায়ন সফল হচ্ছে না, তহবিল সঠিকভাবে যাচ্ছে না, বাইরের বিনিয়োগকারীর বিশ্বাস হ্রাস পাচ্ছে।

    দুর্নীতি ও অর্থপাচার-মুদ্রলুপ্তি (money‐laundering) এক-অপরকে জড়িয়ে গেছে। যেমন TI-র চেয়ারম্যান বলেছেন, বাংলাদেশে, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে বছরে কোটি কোটি ডলারের “অপ্রকাশিত মুদ্রা পাচার” হয়েছে।  

    শুধুই প্রশাসনিক দুর্নীতি নয়, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রেও বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে — রাষ্ট্রীয় নীতিমালা ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে। নিরাপত্তা বাহিনীর স্বাধীনতা, পুলিশ ও বিচারব্যবস্থার স্বায়ত্তশাসন, রাজনৈতিক দল ও প্রেসএর স্বাধীনতা — এসব অবস্থান দুর্বল রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠি (উদাহরণ­স্বরূপ: সংখ্যালঘু, নারী, শিশু, আদিবাসী) অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।

    প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বাড়ানো, দুর্নীতি দমন সংস্থাগুলোর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। প্রকল্প তত্ত্বাবধান ও দেখভালের ব্যবস্থাও উন্নত করতে হবে — দুর্নীতির “হালকা” রূপ যেমন ঘুষ-দেনা থেকে শুরু করে বড় প্রকল্পভিত্তিক দুর্নীতিতে গিয়ে শেষ হয়। নাগরিকদের সচেতনতাও বাড়াতে হবে — সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ দিতে হয় এমন ব্যবস্থায় সামাজিক বিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অর্থপাচার ও লোভনীয় আর্নিংস বিদেশে পাচার রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। গুরুত্বপূর্ণ: দুর্নীতির তথ্য অভিযোজিতভাবে সংগ্রহ ও প্রকাশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে, যাতে বাস্তব চিত্র সামনে আসে।

    Human Rights Watch (HRW)-এর ২০২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: গত ১৫ বছর ধরে নিরাপত্তা বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো “বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, স্বেচ্ছামূলক গ্রেফতার, নির্যাতন” ইত্যাদি কাজে প্রক্রিয়াগত অংশ নিচ্ছে।  Human Rights Support Society (HRSS)-র কোয়ার্টারলি রিপোর্ট অনুযায়ী — ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নারী-শিশু নির্যাতন এবং সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।  

    সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ

    বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতন এসব বিষয়ে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর তদারকি ও দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে — যাতে পার্টি-নৈতিক প্রভাব কম হয় ও মানবাধিকার রক্ষা নিশ্চিত হয়। সাংবাদিকদের ও মতপ্রকাশ-কারীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে। তথ্য ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা বাড়াতে হবে — যাতে মানুষ জানে তাদের অধিকার কী এবং কোথায় অভিযোগ করবেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের মনিটরিং ও পরামর্শ কার্যক্রম বাড়ানো যেতে পারে।

    Anti‑Corruption Commission (Bangladesh) (ACC)-র দ্বারা চালানো একটি মামলা অনুযায়ী, একটি বড় গ্রুপের (S Alam Group) বিরুদ্ধে প্রায় ১০,৪৭৯.৬ কোটি টাকা (বাংলাদেশি টাকায়) ঋণপাচার, সম্পদ লোপভূপি এবং মুদ্রা পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  এর আগে এই গ্রুপের সঙ্গে একটি ব্যাংক (Islami Bank Bangladesh)-এর ঋণগ্রহণ ও নীতিমালার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে — ঋণ সীমা অতিক্রম, ব্যাংক নিয়ম ভঙ্গ ও ঋণ পুনর্নবীকরণ।  এছাড়া, সৃষ্ট পরিস্থিতি এমন যে, পরিবেশীয় তহবিল ও উপকূলীয় প্রকল্পগুলো-তেও দুর্নীতি-সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে — যেমন রাজনীতি ও প্রশাসনিক প্রভাববাহী ব্যক্তিদের কারণে প্রকল্প অনুমোদন টেকনিক্যাল ও পরিবেশগত যাচাইবিহীন হয়ে পড়েছে। 

    এই ধরনের দুর্নীতি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয় — সাধারণ জনগণের ওপর এর প্রভাব হয় খুব বড়: যেমন প্রকল্প ঠিকমতো কাজ না করা, পর্দার আড়ালে অর্থ সরে যাওয়া, দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। ব্যাংকিং সিস্টেম ও বিনিয়োগ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে — বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস কমে যেতে পারে। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য পাওয়া বাস্তব সহায়তা কমে যেতে পারে,

    পরিশেষে..,,

    আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে সাথে আঁকে ওপরের ওপর সোহন -শীল হতে হবে!!!!