(১) যে গল্পটা আমাদের বুক ধক্ করে — সেটা সাহসের, ত্যাগের, আর এক অদম্য আত্মবিশ্বাসের গল্প। ২৩ জুন ১৯৪৯-এ জন্ম নেয়া ওই প্রতিভাবান রাজনৈতিক যাত্রা—যেখানে সাধারণ মানুষের অধিকার, বাংলা ভাষার মর্যাদা, আর স্বাধীনতার স্বপ্ন এক সূত্রে বাঁধা হলো—সেই সূত্র থেকেই আজকের অহংকার গড়ে উঠেছে। 
(২) আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয় — এটি ‘জনতার কথা বলার’ একটি প্রত্যয়। দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে, ভাষার আন্দোলনে, জাতির ক্ষত সারাতে, মুজিবর কণ্ঠস্বর যখন বলেছিল “আমরা স্বাধীন হবই,” — তখন যে সংগ্রাম ছুঁয়ে গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষের প্রাণ; সেই সংগ্রামের স্মৃতিই আজও নৌকার প্রতীককে আলোকিত করে। 
(৩) আজকের দিনে যখন দেশের উন্নয়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের বিস্তার, ডিজিটাল সামর্থ্য ও অবকাঠামোকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন কথা হয় — তাতে অল্প-বেশি ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক। তবে যে ইতিহাস নৌকাকে শ্রদ্ধা করে—তাকে ভুলে যাওয়া যায় না; ইতিহাস এমনিতেই মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, স্মরণ করায় দায়িত্ব ও ভালোবাসা। 
(৪) কিছু কণ্ঠস্বর বলে, রাজনীতি কঠিন; কিন্তু রাজনীতিই তো বদলের তুলেধরা মঞ্চ। যারা কঠোর পরিশ্রম, রাতদিন কাজ ও জনসেবায় বিশ্বাস করে — তাদের অঙ্গিকারই শেষ পর্যন্ত দেশকে সামনের সারিতে দাঁড় করায়। জনতার ভরসা, নেতৃত্বের ত্যাগ আর সুশাসনের প্রত্যাশা—এসব মিলেই এক শক্তিশালী জাতি গঠিত হয়।
(৫) এক শ্লোগান — চোখে জ্বলন্ত আগুন, মুখে একসুর প্রত্যয়:
“নৌকা তোমার, জনতার আশা — অগ্রগতি, গৌরব ও শোষণমুক্ত বাসা!”
(৬) শেষ কথা — ইতিহাস হাসিমুখে স্মরণ করায়: স্বাধীনতার সূর্য একবারই অস্ত যায় না। যারা মানুষের কল্যাণকে কেন্দ্র করে কাজ করে, তাদের ওপরই ভর করে নতুন প্রজন্ম ভবিষ্যত গড়ে তোলে। রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি যখন প্রতিদিনের জীবনে বদলে আসে—সেই সময়েই আমরা সত্যিকার উন্নয়ন দেখি।
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান