“আপনারা যারা ভুলে গেছেন, তাদের বলতে চাই — শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগ যে প্রতিদান দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতি, তা শুধু উন্নয়ন বা অগ্রগতি নয়, এটি এক অভয়ের প্রতীক। প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মুখে এই নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশ মাথা নত করে না, মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। যত বাধাই আসুক, যত ষড়যন্ত্রই হোক, এই দেশ এগিয়ে যাবে নিজের শক্তিতে, নিজের মানুষের বিশ্বাসে। কারণ শেখ হাসিনা মানে সাহস, মানে অগ্রগতি, মানে অভয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।”
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি (গড়ে ৬%–এর বেশি)। অবকাঠামো উন্নয়ন: পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল ইত্যাদি। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষায় অগ্রগতি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা।
শিক্ষায় নারীর অগ্রগতি
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েদের ভর্তি হার এখন ছেলেদের সমান বা তার থেকেও বেশি। উদাহরণ: ২০২3 সালের হিসাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ প্রায় ৯৮%। “উদ্দীপনা” ও “স্টাইপেন্ড” কর্মসূচি — গ্রামীণ এলাকায় মেয়েদের স্কুলে রাখার জন্য সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্প (FSSP) — এই কর্মসূচির মাধ্যমে হাজার হাজার মেয়েকে স্কুলে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। নারী শিক্ষক বৃদ্ধি — প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষক সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৬০%–এর কাছাকাছি, যা মেয়েদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করেছে।
গার্মেন্টস শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৮০% নারী — যা নারীর কর্মসংস্থান ও আর্থিক স্বাধীনতা এনেছে। মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রাম (গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক ইত্যাদি) — নিম্নবিত্ত নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছে। নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন তহবিল (Women Entrepreneur Fund) — ব্যাংক ও সরকারি সহায়তায় নারীরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা শুরু করতে পারছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি নারীদের আইটি-খাতে কাজের সুযোগ তৈরি করেছে।
সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি, তার বাইরে সরাসরি নির্বাচিত নারীর সংখ্যাও বাড়ছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা) নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। শেখ হাসিনা নিজেই নারী নেতৃত্বের শক্ত প্রতীক — দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘতম মেয়াদে নারী প্রধানমন্ত্রী।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০) প্রণয়ন ও সংশোধন। ঘরোয়া সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন (২০১৭) — মেয়েদের ন্যূনতম বিবাহের বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি (২০১১) — নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি নীতিগত কাঠামো।
যদিও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তবুও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে:
বাল্যবিবাহ এখনো কিছু এলাকায় প্রচলিত। কর্মক্ষেত্রে নারী নিরাপত্তা ও সমান মজুরি নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ। গ্রামীণ এলাকায় উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের ঝরে পড়া এখনো একটি বড় সমস্যা।
বাংলাদেশে নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন আজ একটি সাফল্যের গল্প, তবে চ্যালেঞ্জও এখনো বিদ্যমান।
সরকার, এনজিও ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই অগ্রগতিকে টেকসই করতে পারবে।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান